Hikpoo ইন্সুরেন্স পলিসি

 ৬ মাসের পার্টস ওয়ারেন্টি – Hikpoo ইন্সুরেন্স পলিসি

আমরা Hikpoo-তে আপনাকে আরও সুরক্ষা এবং নিশ্চিন্তি দেওয়ার জন্য ৬ মাসের পার্টস ওয়ারেন্টি অফার করছি। এটি একটি অপশনাল ইন্সুরেন্স পলিসি, যা আপনার ল্যাপটপের পার্টস নিয়ে কোনো সমস্যায় আপনার বিনামূল্যে সমাধান নিশ্চিত করবে।

পলিসি কীভাবে কাজ করে?

  • মূল্য: আপনি চাইলে ৩০০০ টাকা অতিরিক্ত প্রদান করে এই সুবিধা নিতে পারেন।
  • সময়কাল: ওয়ারেন্টি থাকবে ৬ মাসের জন্য।
  • কভারেজ: ল্যাপটপের পার্টস (যেমন স্ক্রিন, কিবোর্ড,মাউস প্যাড ইত্যাদি) নিয়ে কোনো সমস্যা হলে এটি কভার করবে।
  • স্বাধীনতা: এটি সম্পূর্ণ ঐচ্ছিক। আপনি চাইলে নিতে পারেন, না চাইলে প্রয়োজন নেই।

কেন এই ওয়ারেন্টি আপনার জন্য উপকারী?

  1. অতিরিক্ত সুরক্ষা: ল্যাপটপ ব্যবহারের সময় যদি কোনো পার্টে সমস্যা হয়, তাহলে তা সহজেই সমাধান করা যাবে।
  2. খরচ বাঁচানো: ওয়ারেন্টি থাকলে আপনার অতিরিক্ত সার্ভিসিং চার্জ লাগবে না।
  3. মানসিক শান্তি: আপনি নিশ্চিন্তে ল্যাপটপ ব্যবহার করতে পারবেন।

Hikpoo-এর ৬ মাসের পার্টস ওয়ারেন্টি কাস্টমারদের ল্যাপটপের নির্দিষ্ট অংশগুলোতে সুরক্ষা প্রদান করে। নিচে এর বিস্তারিত কভারেজ উল্লেখ করা হলো:

কভারেজ অন্তর্ভুক্ত:

  1. স্ক্রিন (Display):
    • স্ক্রিনে কোনো ফিজিক্যাল ত্রুটি (যেমন: ডেড পিক্সেল, ব্যাকলাইট সমস্যা)।
  2. কিবোর্ড (Keyboard):
    • কিবোর্ডের কোনো কী কাজ না করলে বা টেকনিক্যাল ত্রুটি দেখা দিলে।
  3. MousePad :
    • ট্র্যাকপ্যাডের কাজ করার সমস্যা বা সেন্সরের ত্রুটি।
  4. হার্ড ড্রাইভ এবং SSD:
    • স্টোরেজ ডিভাইস যদি কাজ না করে বা ডেটা রিড/রাইটে সমস্যা হয়।
  5. মাদারবোর্ড (Motherboard):
    • মাদারবোর্ডে যেকোনো ইলেকট্রিক্যাল বা হার্ডওয়্যার ত্রুটি। ওভারলোড বা শর্ট সার্কিট থেকে সৃষ্ট ক্ষতি কভারেজের অন্তভুক্ত নয় । 
  6. পোর্ট এবং কানেক্টিভিটি:
    • USB, HDMI, LAN পোর্ট বা অন্য কোনো পোর্টের কাজ করার সমস্যা।
    • Wi-Fi এবং Bluetooth সংযোগের সমস্যা।
  7. RAM (মেমরি):
    • RAM যদি কাজ না করে বা ত্রুটিপূর্ণ হয়ে যায়।
  8. স্পিকার এবং অডিও পোর্ট:
    • ল্যাপটপের স্পিকার বা অডিও পোর্ট যদি সঠিকভাবে কাজ না করে।
  9. ফ্যান এবং কুলিং সিস্টেম:
    • ফ্যানের কাজের সমস্যা বা অতিরিক্ত গরম হওয়ার সমস্যা।

৬ মাসের পার্টস ওয়ারেন্টি যেসব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না:

১. শারীরিক ক্ষতি (Physical Damage):
যদি ল্যাপটপে শারীরিকভাবে ক্ষতি হয়, যেমন স্ক্রিন ফাটা, ডেন্ট, বা পোর্ট ভেঙে যাওয়া, তবে ওয়ারেন্টি প্রযোজ্য হবে না।

২. পানির ক্ষতি (Water Damage):
ল্যাপটপে পানির সংস্পর্শে আসা বা তরল কিছু ঢালার কারণে কোনো ক্ষতি হলে ওয়ারেন্টি কভার করবে না।

৩. ইলেকট্রিকাল ওভারলোড:
বিদ্যুৎ সরবরাহের সমস্যা (যেমন ওভারলোড বা শর্ট সার্কিট) থেকে সৃষ্ট ক্ষতি।

৪. কাস্টমাইজেশন বা পরিবর্তন:
যদি ল্যাপটপের যেকোনো পার্ট গ্রাহক নিজেরা কাস্টমাইজ করেন বা পরিবর্তন করেন (যেমন র‍্যাম, SSD আপগ্রেড) এবং তা থেকে কোনো সমস্যা হয়।

৫. অযত্নজনিত ক্ষতি:
ভুল ব্যবহার, অতিরিক্ত চাপ, বা অযত্নের কারণে হওয়া ক্ষতি।

  1. প্রাকৃতিক দুর্যোগ:
    আগুন, ভূমিকম্প, বন্যা, বা অন্য যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সৃষ্ট ক্ষতি।

৭. ব্যাটারি ও আনুষঙ্গিক পণ্য:
ব্যাটারি, চার্জার, বা অন্য আনুষঙ্গিক পণ্য ৬ মাসের পার্টস ওয়ারেন্টির আওতায় আসবে না।

৮. সফটওয়্যার ইস্যু:
সফটওয়্যার সম্পর্কিত কোনো সমস্যা, যেমন অপারেটিং সিস্টেম ক্র্যাশ বা ভাইরাস আক্রমণ।

৯. তৃতীয় পক্ষ দ্বারা মেরামত:
যদি ল্যাপটপ তৃতীয় পক্ষ দ্বারা মেরামত করা হয় এবং এর ফলে কোনো সমস্যা দেখা দেয়